মধ্যপ্রাচ্য

মরক্কো সফরে ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী

জেরুসালেম, ১১ আগস্ট – মরক্কো সফরের জন্য দেশ ছেড়েছেন ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইয়ার লাপিদ। গত বছরের ডিসেম্বরে আরব বিশ্বের চতুর্থ দেশ হিসেবে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করে মরক্কো। দু’দেশের মধ্যে স্বাভাবিক সম্পর্ক তৈরির পর প্রথমবারের মতো ইসরায়েলের শীর্ষ কোনো কূটনীতিক মরক্কো সফরে যাচ্ছেন বলে আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

মরক্কোকে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের লোভনীয় প্রস্তাবের কারণেই দু’দেশের মধ্যে সম্পর্ক স্বাভাবিকের চুক্তি সহজ হয়েছে। ওই চুক্তির আওতায় ওয়াশিংটন পশ্চিম সাহারার ওপর মরক্কোর আধিপত্যের স্বীকৃতি দেবে বলে ঘোষণা দেয়। ওই অঞ্চলে স্বাধীনতাকামীদের সঙ্গে মরক্কোর কয়েক দশক ধরে বিরোধ চলছে। মরক্কোর প্রভাব থেকে বেরিয়ে সেখানে আলাদা রাষ্ট্র গড়ার চেষ্টা করছে আলজেরিয়া সমর্থিত পলিসিও ফ্রন্ট।

এই সফরে মন্ত্রী পর্যায়ের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেবেন ইয়ার লাপিদ। এই পররাষ্ট্র মন্ত্রীর কার্যালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তিনি মরক্কোর রাজধানী রাবাতে ইসরায়েলের কূটনৈতিক মিশনের উদ্বোধন করবেন। দু’দিনের এই সফরে তিনি ক্যাসাব্লাঙ্কার ঐতিহাসিক বেথ-এল মন্দির পরিদর্শন করবেন এবং মরক্কোর পররাষ্ট্রমন্ত্রী নাসের বৌরিতার সঙ্গে বৈঠক করবেন বলে জানানো হয়েছে।

মরক্কোর আগে অপর তিন আরব দেশ-বাহরাইন, আরব আমিরাত এবং সুদান ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার চুক্তি করে। মূলত যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় বিভিন্ন আরব দেশ ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করেছে।

কিন্তু এর বিরোধিতা করেছে ফিলিস্তিন। তাদের দাবি, আরব দেশগুলো ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র গড়ার বহুদিনের দাবি পূরণ হওয়ার আগে ইসরায়েলকে স্বীকৃতি না দেয়ার অবস্থান থেকে সরে গেছে।

গত ডিসেম্বরে ইসরায়েল এবং মরক্কোর সম্পর্ক স্বাভাবিকের ঘোষণায় মরক্কোর ভেতরেও তীব্র প্রতিক্রিয়া শুরু হয়। এ নিয়ে বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভও হয়েছে।

গত মে মাসে গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের ১১ দিনের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে মরক্কোর বিভিন্ন শহরে বিক্ষোভ করেছেন হাজার হাজার মানুষ। সে সময় মরক্কোর জাস্টিস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টি ইসরায়েলের লিয়াজো অফিস বন্ধ করে দেয়ার দাবি জানায়।

সূত্র : জাগো নিউজ
এন এইচ, ১১ আগস্ট

Back to top button