জাতীয়

৭ ক্যাটাগরিতে ‘মুক্তিযুদ্ধ পদক’ দেবে সরকার

ঢাকা, ০৯ আগস্ট – ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি সংরক্ষণ এবং চেতনা বিকাশে ব্যক্তি ও সংগঠন/সংস্থার গুরুত্বপূর্ণ অবদান ও গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে সম্মানিত ও উৎসাহিত করার জন্য ‘মুক্তিযুদ্ধ পদক’ প্রবর্তন করেছে সরকার। সাতটি ক্যাটাগরিতে এ পদক প্রদানের নীতিমালা জানিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়।

সোমবার মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ তথ্য কর্মকর্তা সুফি আব্দুল্লাহিল মারুফ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে ‘মুক্তিযুদ্ধ পদক নীতিমালা-২০২১’ বিষয়ে জারি করা প্রজ্ঞাপন সম্পর্কে গণমাধ্যমকে জানানো হয়।

এতে উল্লেখ করা হয়, সাত ক্যাটাগরিতে মুক্তিযুদ্ধ পদক দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ক্যাটাগরিগুলো হলো:

ক) স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধে সংগঠনে ভূমিকা

খ) সরাসরি মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ ও বীরত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন

গ) স্বাধীনতা পরবর্তীকালে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন

ঘ) মুক্তিযুদ্ধ/ স্বাধীনতাবিষয়ক সাহিত্য রচনা

ঙ) মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক চলচ্চিত্র/তথ্যচিত্র/নাটক নির্মাণ/সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড

চ) মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতাবিষয়ক গবেষণা

ছ) মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি সংরক্ষণ।
এছাড়া সরকার কর্তৃক নির্ধারিত অন্য কোনো ক্ষেত্রে এ পদক দেওয়া হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রতি বছর ১৫ ডিসেম্বর ‘মুক্তিযুদ্ধ পদক’ আনুষ্ঠানিকভাবে দেওয়া হবে। পদকপ্রাপ্তদের ১৮ (আঠার) ক্যারেট মানের ২৫ (পঁচিশ) গ্রাম স্বর্ণ দ্বারা নির্মিত একটি পদক, পদকের একটি রেপ্লিকা ও দুই লাখ টাকা দেওয়া হবে।

মুক্তিযুদ্ধ পদকের জন্য মনোনীত ব্যক্তিকে অবশ্যই বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে। তবে, মহান মুক্তিযুদ্ধে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখা বিদেশি নাগরিককেও এ পদক দেওয়া যাবে। পদক দেওয়ার জন্য ব্যক্তির সামগ্রিক জীবনের কৃতিত্ব ও অবদানকে গুরুত্ব দেওয়া হবে।

বেসরকারি সংস্থা বা প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে সরকারের স্বীকৃত কোন প্রতিষ্ঠান অথবা যুদ্ধকালীন বা যুদ্ধ পরবর্তী সর্বজনবিদিত সংগঠন হতে হবে। তবে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নে অগ্রণী ভূমিকা পালনে অনন্য হতে হবে। সরকারি দফতর, সংস্থা বা প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিকাশে সরাসরি অবদান রাখা মন্ত্রণালয়/বিভাগ, মন্ত্রণালয় বিভাগের অধীন দফতর, সংস্থা বা প্রতিষ্ঠান বিবেচিত হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, রাষ্ট্রবিরোধী কার্যকলাপ, ফৌজদারি আইনে শাস্তিপ্রাপ্ত বা ফৌজদারি অপরাধে দণ্ডিত বা দেউলিয়া কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান এ পদকের জন্য বিবেচিত হবেন না। একবার পদকপ্রাপ্ত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান পরবর্তী ১০ (দশ) বছরে একই বিষয়ে পুনরায় পদক পাবেন না। মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে এ পদক দেওয়া হবে না।

মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় বছরের নির্দিষ্ট সময়ে পদক দেওয়ার লক্ষ্যে মনোনয়ন আহবান করবে। মনোনয়ন আহ্বান করা হলে প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার মাধ্যমে তা জানানো হবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।

সূত্র: বাংলাদেশ জার্নাল
এম ইউ/০৯ আগস্ট ২০২১

Back to top button