বঙ্গবন্ধু পালিয়ে গেলে দেশ স্বাধীন হতো না -নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
ঢাকা, ০৯ আগস্ট – নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর সাড়ে তিন বছর শাসনামল উন্নয়নের এক বিস্ময়। সেই সময়কালকে স্বাধীনতাবিরোধীরা সব সময় কলঙ্কিত করার চেষ্টা করেছে।
আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুর শাসনামলের সেই সাড়ে তিন বছরের সময়ের গবেষণায় রাষ্ট্রবিজ্ঞানীরা বিস্ময় প্রকাশ করেন। কোন শাসনতন্ত্র ছিল না। রক্তাক্ত বাংলাদেশ। রাস্তাঘাট, ব্রিজ, কালভার্ট নাই। ধ্বংসস্তূপে দাঁড়িয়ে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশকে শাসনতন্ত্র দিয়েছেন।
তিনি বলেন, ৪৭ সাল থেকে বঙ্গবন্ধুর সিদ্ধান্তের কোন ভুল নেই। সাম্প্রতিক সময়ে স্পেনের কাতালিয়ানরা স্বাধীনতার পক্ষে ভোট দিয়েছিল। কিন্তু তাদের নেতা পালিয়ে গেছে। বঙ্গবন্ধু পালিয়ে যান নাই; পালিয়ে গেলে দেশ স্বাধীন হতো না।
প্রতিমন্ত্রী সোমবার রাজধানীর বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্পোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) কার্যালয়ে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে ‘বঙ্গবন্ধু কর্নার’ উদ্বোধন ও বৃক্ষরোপণ শেষে আলোচনায় সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ সব কথা বলেন।
খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পরিবারের মতো পৃথিবীর দ্বিতীয় কোন রাজনৈতিক পরিবার দেশ গঠনে এত আত্মত্যাগ করেনি। জিয়া, এরশাদ ও খালেদা জিয়া বঙ্গবন্ধু পরিবারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন গুজব রটিয়েছে। জিয়ার প্রথম কাজই ছিল বঙ্গবন্ধু পরিবারের চরিত্র হনন করা। মুক্তিযুদ্ধের বিজয় যেন প্রতিষ্ঠিত না হয়, তার জন্য কত ষড়যন্ত্র, প্রতিবিপ্লবের চেষ্টা করা হয়েছে। পঁচাত্তর পরবর্তী সময়ে গুজব ছড়িয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে তারা ব্যাপক পারদর্শিতা দেখিয়েছে। যার খেসারত দিতে হয়েছে বাংলাদেশকে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকলে ৩৫ বছর আগেই বাংলাদেশ স্বপ্নের জায়গায় পৌঁছে যেত। বাংলাদেশকে যে জায়গায় নিয়ে যাওয়ার সংগ্রামে এখন লিপ্ত, ১৫ আগস্টের ঘটনা না হলে এ সংগ্রাম করতে হতো না।
আরও বলেন, পঁচাত্তরে ১৫ আগস্টের ঘটনার মধ্য দিয়ে উন্নত বাংলাদেশের স্বপ্নকে অন্ধকারে ঠেলে দেওয়া হয়েছে। সম্ভাবনার দরজা বন্ধ করে দিয়েছে। দারিদ্র্য ও বৈষম্যের কোলে ঠেলে দিয়ে, ইতিহাসকে বিকৃত করে বাংলাদেশকে লন্ডভন্ড করে দেওয়া হয়েছে। বঙ্গবন্ধুকে যখন হত্যা করা হয়, বাংলাদেশ তখন স্বল্পোন্নত দেশ ছিল। জিডিপি এখনকার চেয়ে বেশি ছিল।
বিআইডব্লিউটিসির চেয়ারম্যান সৈয়দ মো. তাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে নৌপরিবহন সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ্ উদ্দিন চৌধুরী, বিআইডব্লিউটিসির এজিএম খন্দকার মহিউদ্দিন রতন, সিবিএ নেতা মহসিন ভূঁইয়া ও মির্জা মোস্তাফিজুর রহমান অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।
পরে বঙ্গবন্ধুসহ ১৫ আগস্টে শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা এবং দেশ ও জাতির অগ্রগতি জন্য দোয়া করা হয়।
সূত্র : দেশ রূপান্তর
এন এইচ, ০৯ আগস্ট