ক্রিকেট

দুর্ভাগ্য মুলতান ও লাহোরের, দুই সিরিজের সবগুলো ম্যাচই রাওয়ালপিন্ডিতে

ইসলামাবাদ, ২৪ অক্টোবর- সৌভাগ্যই বলতে হবে রাওয়ালপিন্ডির অথবা দুর্ভাগ্য মুলতান ও লাহোরের- এমন এক সময় নিজেদের দেশে সিরিজ আয়োজন করলো পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি), যখন কি না লাহোরে খেলা সম্ভব নয় আর মুলতানের সঙ্গে হলো না বনিবনা। যার ফলে পুরো দুই সিরিজের সবগুলো ম্যাচই পেয়ে গেলো পিন্ডি ক্রিকেট স্টেডিয়াম।

অথচ প্রাথমিকভাবে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজের ঘোষিত সূচিতে একদমই ছিলো না রাওয়ালপিন্ডির নাম। ওয়ানডে সিরিজের তিন ম্যাচ ছিলো লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে, এরপর টি-টোয়েন্টি সিরিজ আয়োজনের কথা ছিলো মুলতান ক্রিকেট স্টেডিয়ামে। কিন্তু এখন দুই সিরিজই চলে গেছে রাওয়ালপিন্ডিতে।

বছরের শেষ দুই মাস (নভেম্বর-ডিসেম্বরে) ভারী হয়ে ওঠে লাহোরের বাতাস, দূষিত পদার্থের কারণে শ্বাসপ্রশ্বাসেই দেখা দেয় জটিলতা। সেখানে ক্রিকেট খেলা একপ্রকার অসম্ভবই বলা চলে। যে কারণে সাধারণত এ দুই মাসে নিজেদের ঘরোয়া ক্রিকেটের ম্যাচও লাহোরে দেয় না পিসিবি।

আরও পড়ুন: চেন্নাইকে ১০ উইকেটে হারিয়ে শীর্ষে মুম্বাই

তবে এবার ভিন্ন কিছুর আশায় জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজের ওয়ানডে ম্যাচগুলো রাখা হয়েছিল লাহোরে। কিন্তু অক্টোবর শেষ হওয়ার আগেই ধোঁয়াটে বাতাসে দূষিত হয়ে পড়েছে লাহোরের পরিবেশ। যে কারণে এখন ওয়ানডে ম্যাচগুলো সরিয়ে নেয়া হয়েছে পিন্ডিতে। এর আগে পিসিবির সঙ্গে বনিবনা না হওয়ায় মুলতান থেকে সরিয়ে নেয়া হয়েছিল টি-টোয়েন্টি সিরিজ।

এ বিষয়ে জানিয়ে পিসিবির প্রধান নির্বাহী ওয়াসিম খান বলেছেন, ‘আমরা গত দুই সপ্তাহ ধরেই লাহোরের বায়ুর ব্যাপারে চোখ-কান খোলা রেখেছি। এছাড়া সামনের দিনগুলোতে অবস্থা কেমনে হতে সেই পূর্বাভাসও নিয়েছি। হুট করেই বাতাসের অবস্থা খারাপ হয়ে যাওয়ায় এবং নভেম্বরে এর কোনো পরিবর্তনের আশা না থাকায় লাহোরের ম্যাচগুলো আমরা সরিয়ে নিয়েছি।’

শুধু জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের তিন ম্যাচই নয়, লাহোর হারিয়ে পাকিস্তান সুপার লিগের (পিএসএল) শেষ চার ম্যাচ আয়োজনের অধিকারও। এখন পিএসএলের শেষ চার ম্যাচ হবে করাচিতে। যেখানে আরব সাগরের কারণে বাতাসে কোনো সমস্যা নেই।

আগামী ৩০ অক্টোবর রাওয়ালপিন্ডিতে হবে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে পাকিস্তানের ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচ। একই মাঠে ১ ও ৩ নভেম্বর হবে সিরিজের বাকি দুই ম্যাচ। আইসিসি ওয়ার্ল্ড কাপ সুপার লিগের অংশ এ সিরিজটি। পরে ৭, ৮ ও ১০ নভেম্বর হবে টি-টোয়েন্টি সিরিজের তিন ম্যাচ।

পাকিস্তান সফরে জিম্বাবুয়ে স্কোয়াড

চামু চিবাবা (অধিনায়ক), ফারাজ আকরাম, রায়ান বার্ল, ব্রায়ান চারি, টেন্ডাই চাতারা, এল্টন চিগুম্বুরা, টেন্ডাই চিসোরো, ক্রেইগ আরভিন, তিনাশে কামুনহুকামুই, ওয়েসলে মাধভেরে, ওয়েলিংটন মাসাকাদজা, কার্ল মুমবা, রিচমন্ড মুতুম্বামি, ব্রেসিং মুজারাবানি, রিচার্ড গারাভা, সিকান্দার রাজা, মিল্টন শুমবা, ব্রেন্ডন টেলর, ডোনাল্ড তিরিপানো এবং শন উইলিয়ামস।

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে পাকিস্তান স্কোয়াড

বাবর আজম, মোহাম্মদ হাফিজ, ফাখর জামান, আবদুল্লাহ শফিক, শাদাব খান, হায়দার আলি, হারিস রউফ, হারিস সোহেল, শাহিন শাহ আফ্রিদি, খুশদিল শাহ, ইমাদ ওয়াসিম, মোহাম্মদ রিজওয়ান, ইমাম-উল হক, উসমান সিনওয়ারি, ইফতিখার আহমেদ, আবিদ আলি, রোহাইল নাজির, উসমান কাদির, জাফর গওহর, মোহাম্মদ হাসনাইন, মোহাম্মদ মুসা এবং ওয়াহাব রিয়াজ।

সূত্র : জাগো নিউজ
এন এইচ, ২৪ অক্টোবর

Back to top button