জাতীয়

ভুয়া সনদের অভিযোগ খণ্ডন করে যা বললেন ডা. জাহাঙ্গীর কবির

ঢাকা, ০৮ আগস্ট – বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলের (বিএমডিসি) এবং চিকিৎসকদের সংগঠন ফাউন্ডেশন ফর ডক্টরস সেফটি অ্যান্ড রাইটসের (এফডিএসআর) অভিযোগের ব্যাখ্যা দিয়েছেন কিটো ডায়েটের জন্য আলোচিত ডা. জাহাঙ্গীর কবির। গতকাল শনিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট করা এক ভিডিওতে তিনি এই ব্যাখ্যা দেন। এ সময় ভিডিওতে তার দেশি-বিদেশি সনদ দেখান তিনি।

ডা. জাহাঙ্গীর কবির বলেন, ‌‘এফডিএসআর এর পক্ষ থেকে আমার কাছে একটা চিঠি এসেছে। অনেকেই এটাকে উকিল নোটিশ মনে করেছেন। কিছু মিডিয়াও সেটাকে উকিল নোটিশ বলে প্রচার করেছে। এটা আসলে উকিল নোটিশ ছিল না। এটা তো একটি ব্যক্তিগত চিঠি ছিল।’

চিঠিটা মিডিয়াতে কীভাবে এসেছে বা আসা উচিত ছিল কি না তিনি জানেন না উল্লেখ করে ডা. জাহাঙ্গীর কবির বলেন, ‘চিঠিটা মিডিয়াতে যাওয়ার ফলে আমি ব্যক্তিগতভাবে ও আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি। আমি আসলে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। আমি পারিবারিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি। আমার বাবা-মা কান্নাকাটি করছে। বিভিন্ন মিডিয়াতে যখন এই খবরগুলো এসেছে তারা অনেক কষ্ট পেয়েছে।’

নিজের ডিগ্রির প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, ‘কিছু মিডিয়ায় প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে, আমি যে ডিগ্রিগুলো ব্যবহার করি সেগুলো আসলে সঠিক না। আমি এ বিষয়টি পরিষ্কার করতে চাই। আমার মূল ডিগ্রিটি হচ্ছে এমবিবিএস (২০০০ সাল) চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ।’

এ ছাড়া কিছু ট্রেনিংয়ের বিষয় উল্লেখ করেন ডা. জাহাঙ্গীর কবির। এর মধ্যে বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলের (বিএমডিসি) সার্টিফিকেট, এফসিজিপি ট্রেনিং সার্টিফিকেট, বারডেমের সিসিডি কোর্স, ওপেন ইউনিভার্সিটি ইউকে থেকে ডায়াবেটিস ও অ্যাজমার ট্রেনিং রয়েছে। সেইসঙ্গে দেশি-বিদেশি ট্রেনিংয়ের সনদ, আন্তর্জাতিক কনফারেন্সে অংশগ্রহণ, পোস্টার প্রেজেন্টের সদন ভিডিওতে দেখান তিনি।

ডা. জাহাঙ্গীর কবির বলেন, ‘আপনাদের কাছে আমার একটাই আবেদন, আমার ডিগ্রিগুলো সঠিক না হলে আমি কীভাবে ২০ বছর ধরে প্র্যাকটিস করছি। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে কাজ করছি? কীভাবে পেজেন্টেশন দিয়েছি? আমি বিভিন্ন মেডিকেল কলেজে সেমিনার করেছি। এই বিষয়গুলো আমি বলার চেষ্টা করেছি। এরপর আপনাদের মনে আর কোনো সন্দেহ থাকবে না। আমি আশা করব, আপনাদের সব বিভ্রান্তি দূর হবে।’

এই চিকিৎসক আরও বলেন, ‘আমি আমার বাস্তবতা আপনাদের কাছে তুলে ধরলাম। আর বিএমডিসি থেকে যে চিঠি পেয়েছি সেটার আলোকে আমি একটা সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমি আমার পেডে শুধু ডা. জাহাঙ্গীর কবির (এমবিবিএস) লিখব। আর কিছু লিখব না। আমি যে কাজ করছি আমার মনে হয় এর থেকে আর বেশি কিছু লিখার দরকার নেই।’

এর আগে গত ১ আগস্ট জাহাঙ্গীর কবিরের কর্মকাণ্ডকে অবৈজ্ঞানিক, অসত্য, দায়িত্বজ্ঞানহীন এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে উল্লেখ করে চিঠি দেয় চিকিৎসকদের একটি সংগঠন ফাউন্ডেশন ফর ডক্টরস সেফটি অ্যান্ড রাইটস (এফডিএসআর)। এ ছাড়া বাংলাদেশ মেডিকেল ও ডেন্টাল কাউন্সিলের (বিএমডিসি) আবেদন ও অনুমোদন ছাড়াই ডা. জাহাঙ্গীর কবির চারটি ডিগ্রি ব্যবহার করছেন অভিযোগ করে, এ বিষয়ে ব্যাখ্যা চেয়ে তাকে চিঠি দেয় বিএমডিসি।

উল্লেখ্য, ফেসবুক ও ইউটিউবে লাখ লাখ অনুসারী আছে ডা. জাহাঙ্গীর কবিরের। লাইফস্টাইল ও ফিটনেসের মাধ্যমে রোগ প্রতিরোধ নিয়ে তিনি বেশ কিছুদিন ধরে কাজ করছেন। বিভিন্ন বিষয়ে ডা. জাহাঙ্গীরের ভিডিও দেখে অনুপ্রাণিত হন অনেকে।

সূত্র: আমাদের সময়
এম ইউ/০৮ আগস্ট ২০২১

Back to top button