ইউরোপে আবারও করোনাভাইরাস সংক্রমণ বৃদ্ধি পেয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, মানুষের অসতর্ক চলাচল এবং সামাজিক দূরত্ব না মেনে সমাবেশই এর জন্য দায়ী। এদিকে বিশ্বজুড়ে শনিবার সকাল পর্যন্ত কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন সাড়ে ৬ হাজারেরও বেশি মানুষ।
করোনার পরিসংখ্যান সাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্য মতে, করোনায় আক্রান্ত এবং মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েছে যুক্তরাষ্ট্রে। দেশটিতে একদিনে আক্রান্ত হয়েছেন ৮১ হাজার ২১০, মৃত্যু ৯০৩। দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা ভারতে করোনায় আক্রান্ত ৫৪ হাজার ২৮ জন এবং মৃত্যু ৬৫৬, ল্যাটিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিলে করোনা পরিস্থিতি আগের চেয়ে কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসলেও মৃত্যু এবং আক্রান্ত বাড়ছেই। ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত ২৩ হাজার ১৬ এবং মৃত্যু ৫৬৬ জন।
নতুন করে মৃত্যু এবং আক্রান্ত বাড়ছে রাশিয়া, স্পেন, আর্জেন্টিনা,ফ্রান্স এবং কম্বোডিয়ায়। তার সাথে নতুন যুক্ত হচ্ছে ইরান, মেক্সিকো এবং যুক্তরাজ্যও। ধারণা করা হচ্ছে এটা করোনার দ্বিতীয় ধাপ।
তাই জনগণকে করোনার প্রকোপ থেকে বাঁচাতে আবারো কারফিউ জারি হচ্ছে অনেক দেশে ।
জার্মানিতে প্রতিদিন সংক্রমণ বাড়ছে। শুধু বৃহস্পতিবারেই নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ১১ হাজার মানুষ। স্বাস্থ্যমন্ত্রী ইয়েন্স স্পান নিজেও করোনায় আক্রান্ত হয়ে বাসায় কোয়ারেন্টিনের নিয়ম পালন করছেন।
আগামী সপ্তাহে চ্যান্সেলর ম্যার্কেল ও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরা পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে আরো কড়া পদক্ষেপ নেবেন বলে ধরে নেয়া হচ্ছে। ফ্রান্সে করোনা মহামারি মারাত্মক রূপ নেয়ায় কার্যত গোটা দেশজুড়ে রাতে কারফিউ কার্যকর করা হচ্ছে।
একদিনে প্রায় ৪১,০০০ নতুন সংক্রমণের ঘটনার ফলে সে দেশের সরকার ঝুঁকি কমানোর চেষ্টা করছে। আগের দিনের তুলনায় সংক্রমণের হার প্রায় ১৫ হাজার বেড়ে গেছে। চীন থেকে করোনা ইউরোপে ছড়িয়ে পড়ার পর দেশটিতে সব মিলিয়ে প্রায় ১০ লাখ মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। দেশটিতে নতুন কারফিউয়ের আওতায় রয়েছে প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ মানুষ।
এদিকে ইতালির রোম, নেপলস ও মিলান শহরেও রাতে আবার কারফিউ জারি করা হয়েছে। ইতালিও করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউয়ের মুখে পড়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়ার চেষ্টা করছে। তবে আপাতত মার্চ মাসের মতো গোটা দেশজুড়ে লকডাউনের পথে যাচ্ছে না সে দেশ। প্রধানমন্ত্রী জুসেপে কন্তে অর্থনীতির আরো ক্ষতি এড়াতে স্থানীয় পর্যায়ে কড়াকড়ির পক্ষে যুক্তি দেখাচ্ছেন।
আরও পড়ুন: বিধানসভা নির্বাচনের মুখে মাস্টারস্ট্রোক দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
এছাড়া পর্তুগাল, ডেনমার্ক, বেলজিয়াম, স্পেন ইত্যাদি দেশেও নানা পর্যায়ে কড়াকড়ি চালু আছে এবং প্রয়োজনে আরো কড়া পদক্ষেপ নেয়ার ইঙ্গিত দেয়া হচ্ছে।
সূত্রঃ চ্যানেল আই
আডি/ ২৪ অক্টোবর