ঢালিউড

মুনিয়া ইস্যুতে আলোচনায় আসেন প্রযোজক রাজ

ঢাকা, ০৫ আগস্ট – কয়েক মাস আগে রাজধানীর গুলশানের একটি বিলাসবহুল ফ্ল্যাট থেকে তরুণী মুনিয়ার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এরপরই আলোচনায় এসেছিলেন চলচ্চিত্র প্রযোজক নজরুল ইসলাম রাজ। ওই সময় তার সঙ্গে মুনিয়ার একাধিক ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়। ছবিতে দেখা যায়, মুনিয়ার পাশে বসে রাজ চুম্বন দিচ্ছেন।

চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্টরা তখন জানিয়েছিলেন, মুনিয়ার সঙ্গে রাজের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। তিনিই মুনিয়াকে একটি নাটকে অভিনয়ের সুযোগ করে দেন। তবে শিডিউল ফাঁসানোর কারণে নাটকটি শেষ পর্যন্ত শেষ হয়নি।

তবে অন্তরঙ্গ ছবি ফাঁসের ঘটনায় রাজ তখন জানিয়েছিলেন, মুনিয়ার পরিবারের সঙ্গে তার ভালো সম্পর্ক ছিল। তিনি প্রায়ই তাদের বাসায় যেতেন। সেখান থেকেই তাদের সম্পর্ক হয়। মুনিয়াকে তিনি মিডিয়ায় এনে কাজের সুযোগ করে দিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু মুনিয়া হঠাৎই তার সঙ্গে যোগযোগ বন্ধ করে দেন।

তখন রাজ দাবি করেন, তিনি চলচ্চিত্র অঙ্গনের অনেককে নায়িকা বানিয়েছেন। যেমন পরীমনিও তার সৃষ্টি।

গতকাল বুধবার বিকেল সাড়ে চারটার দিকে রাজধানীর বনানীর বাসা থেকে বিপুল পরিমাণ মদ, ইয়াবা ও ভয়ংকর মাদক আইস- এলএসডিসহ ঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেত্রী পরীমনিকে আটক করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব)। মাত্র কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে তার সহযোগী ও রাজ মাল্টিমিডিয়ার কর্ণধার নজরুল ইসলাম রাজের বাসায় অভিযান চালিয়ে তাকেও আটক করেছে র‌্যাব।

বুধবার রাত ৮টা ১০ মিনিটে পরীমনিকে তার বনানীর বাসা থেকে বের করে একটি সাদা মাইক্রোবাসে নিয়ে যায় র‌্যাব। এরপর পরীমনিকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে বুধবার রাত সাড়ে ৮টায় রাজের বাসায় অভিযান চালায় র‍্যাব।

টানা দুই ঘণ্টার অভিযান শেষে রাজধানীর বনানীর বাসা থেকে রাত ১০টা ১৫ মিনিটের দিকে রাজকে বের করে আনেন র‍্যাবের সদস্যরা। এরপর তাকেও নেওয়া হয় র‍্যাব সদর দপ্তরে। বাহিনীর লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

বর্তমানে তাদের দুজনকেই র‍্যাব সদর দপ্তরে নেওয়া হয়েছে। সেখানে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছে র‍্যাব।

এম এউ, ০৫ আগস্ট

Back to top button