বগুড়ায় চাঁদাবাজির সময় হাতেনাতে ধরা যুবলীগ কর্মী
বগুড়া, ২৩ অক্টোবর- বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলায় চাঁদাবাজি করতে গিয়ে শাহীন আলম (৩৫) নামের এক যুবলীগ কর্মীকে আটক করে স্থানীয়রা। পরে ৯৯৯-এ ফোন করা হলে পুলিশ ঘটনাস্থলে থেকে শাহীনকে গ্রেপ্তার করে। তিনি উপজেলার বুড়ইল ইউনিয়ন যুবলীগের সক্রিয় কর্মী ও আফুছাগাড়ী গ্রামের লোকমান আলীর ছেলে।
এ ঘটনায় গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে বুড়ইল ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সোবাহান আলী বাদী হয়ে শাহীনসহ সাতজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। আজ শুক্রবার দুপুরে নন্দীগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শওকত কবির এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
স্থানীয় ও থানা সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার বুড়ইল ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সাংগঠনিক সম্পাদক ও তুলাশন গ্রামের সোবাহান আলীর মেয়ে মরিয়ম খাতুনের সঙ্গে দেড় বছর আগে পাশের পেংহাজারকি গ্রামের সাদ্দাম হোসেনের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বিরোধ লেগেই থাকত। এমতাবস্থায় এক সপ্তাহ আগে স্ত্রীকে তালাক দেন সাদ্দাম হোসেন। বিষয়টি মীমাংসার কথা বলে গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় উপজেলার হামিদ বাজারে শাহীন আলমের নেতৃত্বে কয়েকজন যুবক সোবাহান আলীর পথরোধ করে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেন। তিনি টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তাকে মারধর করেন তারা। এ সময় সোবহানের চিৎকারে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এসে যুবলীগ কর্মী শাহীনকে আটক করলেও অন্যরা পালিয়ে যান।
আরও পড়ুন: কনের বয়স ৮০, বরের ১০৫; চ্যাঞ্চল্যকর বিয়েতে ধুমধাম!
এ বিষয়ে নন্দীগ্রাম বুড়ইল ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি লিটন চন্দ্র চৌহান বলেন, ‘বুড়ইল ইউনিয়ন যুবলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি হয়নি। তবে কোনো পদে না থাকলেও শাহীন যুবলীগ করে।’
এ বিষয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা নূর আলম বলেন, ‘স্থানীয় জনতা শাহীনকে আটক করে রাখে। পরে ৯৯৯-এ থেকে ফোন পাওয়ার পর তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। মামলার অন্য আসামিদের গ্রেপ্তার করতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।’
সূত্র: আমাদের সময়
আর/০৮:১৪/২৩ অক্টোবর