জাতীয়

হাসপাতাল থেকে টিকাকেন্দ্র সরানো হবে: স্বাস্থ্যের ডিজি

ঢাকা, ০২ আগস্ট – দেশে করোনার টিকাদান কেন্দ্র অচিরেই আরও বাড়বে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশিদ আলম। গতকাল রবিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ তথ্য জানান। আগামী ৭ আগস্ট থেকে দেশে গ্রামাঞ্চলেও টিকাদান কর্মসূচি শুরু হতে যাচ্ছে। সে প্রসঙ্গে তিনি বলেন, টিকাদান কেন্দ্র বাড়বে। সিটি করপোরেশন এবং গ্রামের ওয়ার্ডপর্যায়ে যখন টিকা দেওয়ার সংখ্যা বেড়ে যাবে, তখন টিকা দেওয়ার জনসংখ্যা (টিকা গ্রহীতা) অনেক বেড়ে যাবে। আমরা চাচ্ছি হাসপাতাল থেকে টিকা কেন্দ্র বের করে নিয়ে আসতে।

হাসপাতালগুলোকে টিকাদান কেন্দ্র করার কারণ ছিল জানিয়ে তিনি বলেন, আমাদের এতদিন ধরে যে বড় ভয় ছিল, টিকা নেওয়ার পর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হয় কিনা, যার জন্য ইমিডিয়েট হাসপাতাল সার্পোট লাগবে, কিন্তু আমরা দেখলাম গত কয়েক মাসে টিকা দেওয়ার পর সে রকম মেজর কোনো দুর্ঘটনা ঘটেনি। আর সে ক্ষেত্রে যদি হাসপাতালগুলোকে ফ্রি না করি তা হলে প্রতিটি হাসপাতালেই স্বাভাবিক কাজকর্ম ব্যাহত হচ্ছে। হাসপাতালের বাইরে আনলেই টিকাকেন্দ্র বেড়ে যাবে। আর কেন্দ্র কেন্দ্র বাড়লেই আরও বেশিসংখ্যক মানুষকে টিকার আওতায় আনতে পারব। গ্রামাঞ্চলে স্কুল-কলেজ-কমিউনিটি হেলথ ক্লিনিক আর ঢাকার ভেতরে মেডিক্যাল কলেজগুলোতে দিয়ে দিতে চাই জানিয়ে অধ্যাপক খুরশিদ আলম বলেন, কলেজ বিল্ডিংগুলোতে হাসপাতাল থেকে ট্রান্সফার করতে চাচ্ছি। কলেজের জায়গা বড়, শিক্ষার্থীরাও নেই, সেখানে মাল্টিপল বুথ করে টিকা দিতে চাই।

আর গ্রামাঞ্চলে টিকাদানের বিষয়ে ইতোমধ্যে মাইক্রো প্ল্যান হয়ে গেছে, প্রশিক্ষণ চলছে। প্রশিক্ষণ শেষ হলেই আগামী ৭ আগস্ট থেকে টিকা দেওয়া শুরু হবে জানিয়ে তিনি বলেন, ইউনিয়ন পর্যায়ে সম্প্রসারিত টিকাদান কেন্দ্র যেভাবে টিকা দেয় সেভাবেই টিকা দেওয়া হবে।

সূত্র : আমাদের সময়
এন এইচ, ০২ আগস্ট

Back to top button