রংপুর

রংপুর বিভাগে ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু ১৮, শনাক্ত ৬৭৯

রংপুর, ০১ আগস্ট – গত ২৪ ঘণ্টায় রংপুর বিভাগে করোনা আক্রান্ত হয়ে আরও ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন ৬৭৯ জন। বিভাগে গত এক মাসে করোনায় প্রাণ হারিয়েছেন ৪১৭ জন ও শনাক্ত হয়েছে ১৮ হাজার ৮৭২ জন।

রোববার (০১ আগস্ট) দুপুরে রংপুর বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. মো. মোতাহারুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, শনিবার সকাল ৮টা থেকে রোববার সকাল ৮টা পর্যন্ত করোনায় মারা যাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে রংপুরের ছয়জন, ঠাকুরগাঁওয়ের ছয়জন, দিনাজপুরের দুজনসহ নীলফামারী, পঞ্চগড়, কুড়িগ্রাম ও গাইবান্ধার একজন করে রয়েছেন।

এ সময়ে বিভাগে ২ হাজার ২৪০ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এতে রংপুরের ১৫৬ জন, পঞ্চগড়ের ৬৩, কুড়িগ্রামের ৯০, দিনাজপুরের ৯৪ জন, লালমনিরহাটের ৩৮ জন, গাইবান্ধার ৫১ জন, ঠাকুরগাঁওয়ের ১০৭ জন ও নীলফামারীর ৮০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। গতকালের তুলনায় মৃত্যু ও শনাক্ত দুটোই বেড়েছে।

নতুন করে মারা যাওয়া ১৮ জনসহ বিভাগে করোনায় মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৯৩৬ জনে। এর মধ্যে দিনাজপুরে ২৭০ জন, রংপুরে ২০৬ জন, ঠাকুরগাঁওয়ে ১৮২, নীলফামারীতে ৬৭, পঞ্চগড়ে ৫৮, লালমনিরহাটে ৫৫, কুড়িগ্রামে ৫৪ ও গাইবান্ধায় ৪৪ জন রয়েছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৬৭৮ জন।

বিভাগের আট জেলায় এখন পর্যন্ত ৪৪ হাজার ৮৫২ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে দিনাজপুুরে ১২ হাজার ৭১৩ জন, রংপুরে ৯ হাজার ৯৬১ জন, ঠাকুরগাঁওয়ে ৬ হাজার ১৩৯ জন, গাইবান্ধায় ৩ হাজার ৮৫১ জন, নীলফামারীর ৩ হাজার ৬১৭ জন, কুড়িগ্রামের ৩ হাজার ৫৬২ জন, লালমনিরহাটের ২ হাজার ২৫৩ জন এবং পঞ্চগড়ের ২ হাজার ৭৫৬ জন রয়েছেন।

করোনাভাইরাস শনাক্তের শুরু থেকে এ পর্যন্ত রংপুর বিভাগে ২ লাখ ১৮ হাজার ৮১১ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। বিভাগের আট জেলার মধ্যে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত ও মৃত্যু হয়েছে দিনাজপুর, রংপুর ও ঠাকুরগাঁও জেলায়। এ ছাড়া ভারতীয় সীমান্তঘেঁষা জেলাগুলোয় বেড়েছে শনাক্ত ও মৃত্যু।

রংপুর জেলার সিভিল সার্জন ডা. হিরম্ব কুমার রায় জানান, গেল জুলাই মাসে শুধু রংপুর মহানগর ও আট উপজেলাতে করোনা সংক্রমিত ৩ হাজার ৯৮০ জন রোগী শনাক্ত হয়েছে। একই সময়ে করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৮৭ জনের। এদের মধ্যে বিভিন্ন বয়সী নারী-পুরুষ রয়েছে। তবে আগের তুলনায় এখন তরুণদের মধ্যে সংক্রমণ বেড়েছে।

এদিকে করোনার উপসর্গ নিয়ে প্রতিদিন বিভাগের সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন হাসপাতালে অন্তত ১০ থেকে ১৫ জনের মৃত্যু হচ্ছে বলে জানা গেছে। তবে উপসর্গ নিয়ে মারা যাওয়া ব্যক্তিদের হিসাবে ধরছে না স্বাস্থ্য বিভাগ। বর্তমানে বিভাগের হাসপাতালগুলোতে সংকটাপন্ন রোগীদের জন্য মিলছে না আইসিইউ শয্যা। রোগী ভর্তির চাপ বাড়াতে অক্সিজেন চাহিদাও বেড়েছে।

রংপুর বিভাগের আট জেলার সংকটাপন্ন রোগীদের চিকিৎসাসেবার জন্য আইসিইউ শয্যা রয়েছে মাত্র ৪৬টি। এর মধ্যে রংপুর ডেডিকেটেড করোনা আইসোলেশন হাসপাতালে ১০টি (সচল ৮টি), রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ২০টি এবং দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১৬টি শয্যা রয়েছে।

সূত্র : ঢাকা পোস্ট
এন এইচ, ০১ আগস্ট

Back to top button