ফুটবল

এএফসি কাপে বসুন্ধরার শুভসূচনা

মালে, ১৯ আগস্ট – এশিয়ার দ্বিতীয় শীর্ষ ক্লাব ফুটবল প্রতিযোগিতা এএফসি কাপের মিশনে শুভসূচনা করেছে বসুন্ধরা কিংস। মালদ্বীপের মালের রাশমি ধান্দু স্টেডিয়ামে বুধবার (১৮ আগস্ট) রাতে স্বাগতিকদের চ্যাম্পিয়ন ক্লাব মাজিয়া স্পোর্টস অ্যান্ড রিক্রিয়েশন ক্লাবকে ২-০ গোলে হারাল তারা। এই প্রথমবার বিদেশের মাটিতে খেললো বসুন্ধরা কিংস।

ম্যাচের দুটি গোলই প্রথমার্ধে করে অস্কার ব্রুজেনের শিষ্যরা।

মাজিয়ার বিপক্ষে ম্যাচের ২৫ মিনিটেই গোলের দেখা পায় বসুন্ধরা কিংস। এ সময় ইরুফানের আত্মঘাতী গোল এগিয়ে যায় বাংলাদেশের ক্লাবটি। ৪০ মিনিটের মাথায় রবিনিয়োর বুলেট গতির শট মাজিয়ার জাল কাঁপালে ব্যবধান দ্বিগুণ হয়।

বসুন্ধরার বিপক্ষে শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ছিল মাজিয়া স্পোর্টস। ২ মিনিটে সতীর্থের কাট ব্যাকে ইব্রাহিম আইসাম শট নেন, ক্রসবারের উপর দিয়ে বল চলে যায়। কিছুক্ষণ পরে কাছের পোস্ট দিয়ে কর্নেলিয়া স্টুয়ার্টের দুর্বল শট সহজেই ঠেকান বসুন্ধরা গোলরক্ষক আনিসুর রহমান জিকো।

১৩ মিনিটে প্রথম ভালো সুযোগ নষ্ট হয় বসুন্ধরার। জোনাথন ফের্নান্দেস দি সিলভার কর্নারে দূরের পোস্টে দাঁড়ানো ইরানিয়ান ডিফেন্ডার শাফিইয়ের হেড এক খেলোয়াড়ের গায়ে লাগার পর সহজে তা আটকান মাজিয়া গোলকিপার।

বসুন্ধরা এগিয়ে যায় ২৫তম মিনিটে। নিজেদের অর্ধ থেকে শাফিইয়ের লম্বা ক্রস নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার জন্য ছুটেছিলেন রাউল অস্কার বেসেরা। তিনি বল পাওয়ার আগে মাজিয়ার ইরুফান বিপদমুক্ত করতে গিয়ে জালে জড়ান।

৪০ মিনিটে ব্যবধান বাড়ায় বসুন্ধরা। এই গোলে ম্যাচে চালকের আসনে বসে কিংস। মাজিয়া অধিনায়ক ইরুফানের কাছ থেকে বল কেড়ে নিয়ে ডি-বক্সে ঢুকে জোরালো শটে লক্ষ্যভেদ করেন বসুন্ধরার ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড রবিনিয়ো।

বিরতির আগে ফের্নান্দেসের শট যায় পোস্টের বাইরে দিয়ে।

দ্বিতীয়ার্ধে ঘুরে দাঁড়াতে মরিয়া মাজিয়া উপরে উঠে খেলতে থাকলেও পায়নি কাঙ্ক্ষিত গোলের দেখা। বসুন্ধরা বাকি সময় রক্ষণ আগলে রেখে জয় নিশ্চিত করে।

এএফসি কাপে ‘ডি’ গ্রুপে বসুন্ধরার অন্য দুই প্রতিপক্ষ মোহনবাগান ও বেঙ্গালুরু বিকালে মুখোমুখি হয়। এই ম্যাচে বেঙ্গালুরুকে ২-০ গোলে হারায় মোহনবাগান।

শনিবার (২১ আগস্ট) বাংলাদেশের দ্বিতীয় ম্যাচ বেঙ্গালুরুর বিপক্ষে। তিনদিন পর তারা খেলবে মোহনবাগানের বিপক্ষে। দুটি ম্যাচই হবে বাংলাদেশ সময় বিকাল ৫টায়। দেখা যাবে টি-স্পোর্টসে।

সূত্র : রাইজিংবিডি
এন এইচ, ১৯ আগস্ট

Back to top button