কারাজীবন অপরাধীদের জন্যই। অবশ্য অনেককে বিপাকে পড়েও কারাগারে যেতে হয়। তবে অপরাধ কিংবা বিপত্তি এড়িয়েও পেতে পারেন কয়েদী জীবনের বাস্তব অভিজ্ঞতা।
আর এ অভিজ্ঞতা অর্জনে অবশ্য একটু খরচ করতে হবে। শখ বলে কথা। এই শখ পূর্ণ করতে লাগবে ৫০০ রুপি (৫৯০ টাকা)। মঙ্গলবার এ সংক্রান্ত একটি খবর প্রকাশ করেছে ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি বাংলা।
অবশ্য আপনার বাসা ভারতের তেলেঙ্গানা রাজ্যের মেডাক শহরের বাইরে হলে ভাড়া ও অন্যান্য খরচের হিসাবটাও মাথায় রাখতে হবে। কারণ, কারা জীবন কত কঠোর, সেটা বোঝাতে এই অভিনব পরিকল্পনা নিয়েছে ওই রাজ্য সরকার।
একটি প্রাচীন কারাগারকে তারা পর্যটন কেন্দ্রে পরিণত করেছে। সেখানে কেউ চাইলেই ৫০০ রুপি দিয়ে ২৪ ঘণ্টা কাটিয়ে আসতে পারেন।
আরও পড়ুন: দুর্ঘটনায় পড়লে মাথার হেলমেট ডাকবে অ্যাম্বুলেন্স!
তেলেঙ্গানায় মেডাক শহরের এই কারাগারটি ২২০ বছরের পুরনো। হায়দ্রাবাদের নিজাম তৈরি করেছিলেন এই কারাগারটি। কারাগারটি সম্প্রতি সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে নতুন জায়গায়।
পুরনো জেলের একটা অংশে যেমন তৈরি হয়েছে জাদুঘর। অন্য একটি অংশে পর্যটকদের লক আপে রাখার ব্যবস্থা হয়েছে। নাম দেয়া হয়েছে- 'ফিল দ্যা জেল' বা 'কারাগারের অনুভূতি'।
তবে অন্য পর্যটন কেন্দ্র বা হোটেলে যেমন আরাম-আয়েশে থাকা যায়, এই জেলে কিন্তু কাটাতে হবে একদম কয়েদীদের মতই। সাদা-কালো ডোরা কাটা পোশাক পরিয়ে রাখা হবে লক আপে।
আর জেল কোড অনুযায়ী সকালের চা, জলখাবার আর দুপুর- রাতের খাবার দেয়া হয়। যে খাবার কয়েদীদের জন্য রান্না হয়, সেই খাবারই পর্যটকদেরও দেয়া হয়।
এছাড়া মেঝেতে শোয়ার জন্য কম্বল থাকে। বাড়তি শুধু সেলের ভেতরে একটা ফ্যান, যেরকম ভিআইপি সেলে থাকে।
অন্যান্য জেলে যেমন বিকেল সাড়ে ৫টায় মাথা গুণতির পরে লক আপে ঢুকে যেতে হয়, এখানেও ব্যবস্থা সেরকমই। আবার ভোর বেলায় লক-আপের দরজা খোলা হয়।
এই জেলে নারীরাও থাকতে পারেন। তবে সাধারণ জেলে যেমন পরিবারের সঙ্গে কয়েদীরা থাকতে পারেন না, এখানেও তেমনই নিয়ম।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, অনেক পর্যটন এজেন্সি আর সাধারণ মানুষ এই ব্যাপারে খোঁজ খবর করছেন। অনেকে আবার ২৪ ঘণ্টা এই কঠোর নিয়মের মধ্যে থাকতে হবে জেনে পিছিয়েও যাচ্ছেন।
আর/১০:১৪/৩০ আগষ্ট