ঢাকা, ০৭ আগষ্ট- আগামী ২০২০ সালের মধ্যে দেশে চরম দারিদ্র্য নির্মূলের ঘোষণা দিয়েছে দেশের বৃহৎ বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা বাংলাদেশ রুরাল অ্যাডভান্সমেন্ট কমিটি (ব্র্যাক)।
সম্প্রতি প্রকাশিত ব্র্যাক’র পঞ্চবার্ষিক (২০১৬-২০২০) কৌশলগত পরিকল্পনায় এই কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়া হয়। যা সরকারের ভিশন-২০২১ বাস্তবায়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে মনে করা হচ্ছে।
রোববার (০৭ আগস্ট) ব্র্যাক’র স্ট্র্যাটেজি, কমিউনিকেশনস এবং এমপাওয়ারমেন্ট বিভাগের সিনিয়র ডিরেক্টর আসিফ সালেহ বিষয়টি জানান।
পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় বেশ বিছু কর্মসূচি ও লক্ষ্য নির্ধারণ করা করেছে ব্র্যাক। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- ২০২০ সালের মধ্যে দেশে চরম দারিদ্র্য নির্মূল, দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে আর্থিকভাবে ক্ষমতায়ন, সুবিধা বঞ্চিত নারী-পুরুষদের দক্ষ হিসেবে গড়ে তুলে কাজে সম্পৃক্ত করা, জলবায়ু পরিবর্তনে স্থিতিস্থাপকতা আনায়ন ও জরুরি পরিস্থিতি দ্রুত সাড়া দান, নারী-পরুষের বৈষম্যদূর করে সহিংসতা নিরসনে সবার অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা, জনগণকে তাদের অধিকার সম্পর্কে সচেতন করে গ্রাম উন্নয়ন করা, সার্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা ও পুষ্টি বিষয়ে দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে সচেতনতা বাড়ানো, পরবর্তী প্রজন্মের বিনিয়োগ বৃদ্ধি করা ও গুণগত শিক্ষা প্রাপ্তিতে সহায়তা করা ইত্যাদি।
ব্র্যাক জানায়, উন্নয়নক্ষেত্রে বিভিন্ন সমস্যার সমাধান সূত্র আবিষ্কার করে বাংলাদেশসহ বিশ্বের বেশ কিছু দেশে কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে এবং দরিদ্র মানুষের সম্ভাবনার বিকাশে নেতৃত্ব প্রদান করছে ব্র্যাক। ১৯৭২ সালে বাংলাদেশের প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে স্বল্পপরিসরে ত্রাণ ও পুনর্বাসন প্রকল্পের মধ্যদিয়ে কার্যক্রমের সূচনা ঘটালেও, ব্র্যাক বর্তমানে বিশ্বের সর্ববৃহৎ উন্নয়ন সংস্থায় পরিণত হয়েছে।
জনগোষ্ঠীর নিজস্ব ভৌত ও মানবিক সম্পদ ব্যবহারের মাধ্যমে দরিদ্র মানুষকে সংগঠিত করে তাদের জীবনে ব্র্যাক স্থায়িত্বশীল পরিবর্তন নিয়ে আসছে। তাদের জন্য এমন একটি পরিপার্শ্ব গড়ে তোলা হয়েছে, যেখানে দরিদ্র মানুষ তাদের নিজস্ব জীবনের উপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে পারে।
উন্নয়নের সামগ্রিক কর্মকৌশলে ক্ষুদ্রঋণ, শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা, আইনি সহায়তা, জনগোষ্ঠীর ক্ষমতায়ন প্রভৃতি ক্ষেত্রে সবাইকে অনর্ভুক্ত করার ফলেই আমাদের পক্ষে এই অর্জন সম্ভব হয়েছে। ব্র্যাকের কর্মীদল এবং এই সংস্থার প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত লাখো উদ্যেক্তাকে নিয়ে ব্র্যাকের কর্মধারা বর্তমানে ১৩৫ মিলিয়ন মানুষের জীবনকে স্পর্শ করে যাচ্ছে এবং এশিয়া, আফ্রিকা ও ক্যারিবীয় অঞ্চলের এগারটি দেশ এবং বর্তমানে মিয়ানমারে কর্মসূচি পরিচালনার মাধ্যমে আমাদের কাজ বৈশ্বিক আন্দোলনরূপে মানুষের জীবনে প্রত্যাশিত পরিবর্তন নিয়ে আসছে।
আর/১৭:১৪/০৭ আগষ্ট