যশোর, ২৫ জুলাই- জঙ্গি তৎপরতায় জড়িত বলে যশোর পুলিশের তালিকার সন্দেহভাজন কামরুজ্জামান তুহিন ওরফে মুন্না নববধূকে নিয়ে বাড়ি ফিরেছেন। বাবার সঙ্গে স্ত্রী ও শ্বশুরপক্ষের লোকজনদের নিয়ে সোমবার ভোরে যশোর শহরের শঙ্করপুরের নিজ বাসায় ফেরেন তুহিন। সম্প্রতি যশোর পুলিশ জঙ্গি তৎপরতায় জড়িত যে ৫ জনের ছবি ও নাম দিয়ে পোস্টার বের করে, সেখানেও তুহিনের ছবি ও নাম রয়েছে।
প্রায় তিন বছর আগে তিনি নিরুদ্দেশ হন। তার বাবা আবদুস সোবহান শঙ্করপুর গোলপাতা মসজিদ এলাকার চা-দোকানি।
তুহিন নিজেকে জঙ্গি নন বলে দাবি করে বলেন, মায়ের ওপর রাগ করে বাড়ি ছেড়েছিলেন। তিন বছর ঢাকায় ছিলেন। একটি ডেকোরেটরের দোকানে ও প্লাস্টিক কারখানায় কাজ করেন। বিয়েও করেছেন। কাজ করেই খান। কোনো ধরনের জঙ্গি তৎপরতার সঙ্গে তিনি জড়িত নন। বাড়িতে এসে শুনছেন যে পুলিশ তাকে ধরিয়ে দেওয়ার জন্য নাম-ছবিসহ পোস্টার ছেপেছে।
তুহিনের বাবা সোবহান বলেন, আইপিএল জুয়ায় জড়িয়ে পড়ায় মায়ের বকুনি খেয়ে তুহিন বাড়ি ছাড়ে। পরে এ ব্যাপারে যশোর কোতোয়ালি থানায় সাধারণ ডায়রিও করা হয়েছিল। পরে থানার একজন দারোগা এলাকায় তদন্তে আসেন। তিনি এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে নিশ্চিত হন যে তুহিন জঙ্গি নন। কিন্তু থানার প্রভাবশালী এক কর্তার কথামতো তুহিনকে জঙ্গি হিসেবে সাব্যস্ত করা হয় বলে অভিযোগ করেন তুহিনের বাবা। তিনি বলেন, এরপর পুলিশ তার ছেলেকে জঙ্গি বলতে শুরু করে।
যশোর শহরে পুলিশের ছাপানো জঙ্গি তালিকাসম্বলিত পোস্টারে নিজের নাম ও ছবি দেখে কান্নায় ভেঙে পড়েন তুহিন। তিনি দাবি করেন, বাড়ি ছাড়ার পর তিনি ঢাকার ইসলামবাগ এসি মসজিদ গলির এক প্লাস্টিক কারখানায় ও পরে জিঞ্জিরা খেজুরবাগ বালুরচর এলাকায় রফিকের ডেকোরেটরের দোকানে কাজ করেন। সেখানে আলাপ হয় বাংলাবাজারে বই সাপ্লায়ার মনির খানের মেয়ে ইয়াসমিন আক্তারের সঙ্গে। কিছুদিন প্রেম করার পর ছয় মাস আগে তারা বিয়ে করেন।
এদিকে নববধূসহ তুহিনের ফেরার খবরে সোবহানের বাড়িতে আশপাশের লোকজন ভিড় জমিয়েছে। ছেলেকে ফিরে পেয়ে খুশি তুহিনের বাবা-মা ও পরিবারের অন্য সদস্যরা।
আর/১১:১৪/২৫ জুলাই