জেরুসালেম, ১৩ এপ্রিল- ১৯৯৪ সালে রুয়ান্ডায় গৃহযুদ্ধ চলাকালে সেখানে সংঘটিত গণহত্যায় অস্ত্র সরবরাহ করেছিল ইসরায়েল। তবে এখন পর্যন্ত এ বিষয় বিস্তারিত কোনো তথ্য জনসম্মুখে প্রকাশ করা হয়নি। এ নিয়ে এক মামলার রায়ে দেশটির সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, অস্ত্র সরবরাহ সংক্রান্ত সব তথ্য গোপন রাখা হবে।
দুই বছর আগে বিষয়টি জানতে চেয়ে তথ্য অধিকার আইনে আদলতে একটি মামলা করে ইসরায়েলের অধ্যাপক ইয়াইর অ্যারোন এবং আইনজীবী ইতায় ম্যাক। ১৯৯০ থেকে ১৯৯৫ সাল পর্যন্ত রুয়ান্ডায় গৃহযুদ্ধে ইসরায়েল কী পরিমাণ অস্ত্র সরবরাহ করেছিল- তার জানতে চায় তারা।
অভিযোগ করা হয়, রুয়ান্ডায় গণহত্যা চলাকালে ইসরায়েলের তৈরি ৫.৫৬ এমএম বুলেট, রাইফেল এবং গ্রেনেডসেহ বিভিন্ন অস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছিল। আদালতের রায়ের পর এ বিষয়ে বিস্তারিত কোনো তথ্য জানার আর কোনো সুযোগ থাকলো না।
তেল আবিব আদালতের ভাষ্যমতে, অস্ত্র সরবরাহ বিষয়ক তথ্য প্রকাশ করা হলে তার ইসরায়েলের নিরাপত্তার জন্য হুমকি এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে ক্ষতিকর হতে পারে।
উল্লেখ্য, নব্বইয়ের দশকে রুয়ান্ডায় গৃহযুদ্ধ চলার সময়ে ১৯৯৪ সালে গণহত্যা সংঘটিত হয়। এপ্রিল থেকে শুরু হয় হত্যাযজ্ঞের ঘটনা। মাত্র তিন মাসে তুতসী সম্প্রদায়ের প্রায় আট লাখ মানুষকে হত্যা করে হুতু জনগোষ্ঠীর চরমপন্থীরা। এই গণহত্যাকে বিশ্বের সাম্প্রতিক ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়াবহ গণহত্যা বলে বিবেচনা করা হয়।