সিলেট, ০৮ এপ্রিল- সিলেটে রাগীব আলীর বিরুদ্ধে দেবোত্তর সম্পত্তি তারাপুর চা-বাগান জালিয়াতির মাধ্যমে দখল করে হাজার কোটি টাকার সম্পদ আত্মসাতের অভিযোগে করা দুটি মামলার তদন্তভার পুলিশের বিশেষায়িত তদন্ত সংস্থা পিবিআইকে দিয়েছেন আদালত।
গতকাল বৃহস্পতিবার সিলেটের মুখ্য মহানগর হাকিম মো. সাইফুজ্জামান এ আদেশ দেন। এর আগে কোতোয়ালি থানা-পুলিশের কাছে মামলা দুটির তদন্তভার ছিল।
গত ২২ মার্চ আদালত এক আদেশে সিলেট কোতোয়ালি থানা-পুলিশকে তদন্ত করে গতকাল ৭ এপ্রিল প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছিলেন।
সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) মিসবাহউদ্দিন সিরাজ জানান, গতকাল ধার্য তারিখে থানা-পুলিশের তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল বিষয়ে শুনানি হয়। পরে আদালত মামলা দুটির তদন্ত কর্তৃপক্ষ বদল করে পিবিআইকে দেন। ২৫ এপ্রিল পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।
আদালত সূত্র জানায়, দেবোত্তর সম্পত্তি তারাপুর চা-বাগানের জায়গায় বিধিবহির্ভূতভাবে স্থাপনা নির্মাণ করার বিষয়টি ১৯৯৯ সালের ২৫ আগস্ট ভূমি মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত তৎকালীন সংসদীয় স্থায়ী কমিটি সরেজমিনে তদন্ত করে সত্যতা পায়। পরবর্তী সময়ে সংসদীয় উপকমিটি চা-বাগানে অবৈধ দখলদারদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করে। এ সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে ২০০৫ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর তৎকালীন সিলেট সদর ভূমি কমিশনার এস এম আবদুল হাই সিলেট কোতোয়ালি থানায় দুটি মামলা করেন।
ওই মামলায় প্রতারণার মাধ্যমে হাজার কোটি টাকার ভূসম্পত্তি আত্মসাতের অভিযোগে রাগীব আলী, তাঁর স্ত্রী রাবেয়া খাতুন চৌধুরী (প্রয়াত), ছেলে আবদুল হাই, মেয়ে ও মেয়ের জামাতাকে আসামি করা হয়েছিল। ২০০৮ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে মামলা দুটি উচ্চ আদালত থেকে স্থগিত করা হয়। পরবর্তী সময়ে তদন্ত করে ২০১০ সালের ২৮ অক্টোবর আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন (ফাইনাল রিপোর্ট) দাখিল করে পুলিশ। গত ১৯ জানুয়ারি সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ দেবোত্তর সম্পত্তির তারাপুর চা-বাগান পুনরুদ্ধারে রায় দেন। এতে মামলা দুটি সক্রিয় করারও নির্দেশনা দেওয়া হয়।
এস/১৭:৪০/০৮ এপ্রিল