লন্ডন, ১৬ মার্চ- ঢাকা থেকে লন্ডনে সরাসরি কার্গো সার্ভিসে যে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে, তা যাতে যুক্তরাজ্য তুলে নেয় সেজন্য লন্ডনের কূটনৈতিক মহলে তোড়জোর শুরু করেছে সরকার। আইনমন্ত্রী আনিসুল হক মঙ্গলবার যুক্তরাজ্যের পরিবহন আন্ডার সেক্রেটারি লর্ড আহমেদের সঙ্গে লন্ডনে দেখা করেছেন এবং তাদের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার অনুরোধ জানিয়েছেন। একজন কর্মকর্তা বলেন, বিমানবন্দরের নিরাপত্তায় এখন পর্যন্ত যেসব পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে তার বিস্তারিত বর্ণনা ব্রিটিশমন্ত্রীকে দিয়েছেন আইনমন্ত্রী।
এদিকে শাহজালাল বিমানবন্দরে স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘ মেয়াদে কী কী জিনিষের প্রয়োজন তার একটি তালিকা তৈরি করেছেন উভয় দেশের সরকারি কর্মকর্তারা। আরেক কর্মকর্তা বলেন, এই তালিকার ওপর ভিত্তি করে একটি ব্রিটিশ প্রতিষ্ঠানকে বিমানবন্দরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা উন্নয়নের জন্য দায়িত্ব দেওয়া হবে।
গত ৮ মার্চ ঢাকা-লন্ডন সরাসরি কার্গো সার্ভিসে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে যুক্তরাজ্য। এরপর ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে এক চিঠির মাধ্যমে জানান, নিরাপত্তা পরিস্থিতির দৃশ্যমান উন্নতি না হলে আগামী ৩১ মার্চ থেকে বিমানের ঢাকা-লন্ডন সরাসরি ফ্লাইটের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হবে।
কর্মকর্তাটি বলেন, ব্রিটিশ সরকার গ্রুপ ফোর, রেডলাইন, রেসট্রাটা এবং ওয়েস্টমিনিস্টার নামে চারটি প্রতিষ্ঠানের নাম সুপারিশ করেছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্য থেকে একটিকে নিরাপত্তা ব্যবস্থা উন্নয়নের দায়িত্ব দেওয়া হবে।
এখন বিমানবন্দরের তিনটি স্থরে নিরাপত্তা ব্যবস্থা উন্নত করতে হবে বলে চিহ্নিত করা হয়েছে। তিনটি স্থর হচ্ছে- অ্যাডভাইজরি স্তর, সুপারভাইজরি স্তর এবং অপারেশনাল স্তর। এ স্তরগুলোতে যথাযোগ্য প্রশিক্ষণের মাধ্যমে একটি দক্ষ কর্মীবাহিনী গড়ে তোলার পর ব্রিটিশ প্রতিষ্ঠান তাদের হাতে দায়িত্ব ছেড়ে দেবে বলে ওই কর্মকর্তা জানান। প্রশিক্ষণের জন্য কত সময় লাগবে, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটা পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করবে।’
আগামী ২০ মার্চের মধ্যে ব্রিটিশ সরকারের পছন্দের চারটি কোম্পানির মধ্যে একটি প্রতিষ্ঠানকে নিরাপত্তা দায়িত্ব দেওয়ার বিষয়ে সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।অন্যথায় ৩১ মার্চ থেকে বিমানের ঢাকা-লন্ডন সরাসরি ফ্লাইট বন্ধ হয়ে যাবে।
যুক্তরাজ্যের রাষ্ট্রদূত অ্যালিসন ব্লেক এক চিঠিতে গত রোববার বেসামরিক বিমান মন্ত্রী রাশেদ খান মেননকে একটি বিদেশি প্রতিষ্ঠানকে এ দায়িত্ব দেওয়ার পরামর্শ দেন। শেখ হাসিনাকে লেখা চিঠিতে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরনও শাহজালাল বিমানবন্দরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা আন্তর্জাতিক মানের করার জন্য প্রয়োজনীয় পরামর্শক নিয়োগের পরামর্শ দেন।
এফ/২২:৫৮/১৬মার্চ