পৃথিবীর নানান অঞ্চলে নানান ভাবে গড়ে উঠেছে সমাজ, সভ্যতা। নানান প্রথাও জন্ম হয়েছে একেক অঞ্চলের সংস্কৃতি আর ধর্মীয় উপাসনার ধরণ হিসেবে। এই সব প্রথার বেশির ভাগই হিংস্র, কুৎসিত এবং কুসংস্কার প্রসূত। হাজারো অদ্ভুত প্রথা ছড়িয়ে আছে বিশ্বময়। তাঁর মধ্য থেকে কয়েকটির কথা জানব আজ।
Hindu Thaipusam Festival Piercings
থাইপুজিয়াম নামের ধর্মীয় অনুষ্ঠান উৎযাপনকালে দেবতা মুরুগানের প্রতি আনুগত্য প্রকাশের উদ্দেশ্যে হিন্দু এই জাতি শরীরের বিভিন্ন অংশকে ফুটো করে। এই প্রথা প্রচলিত আছে মূলত ইন্ডিয়া, শ্রীলংকা, মরিশাস, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড এবং মায়ানমারের তামিল অধ্যুসিত এলাকায়। জিভ সহ শরীরের বিভিন্ন অংশে এরকম বেদনাদায়ক ফুটো করে তারা। দিনে দিনে প্রথাটিতে যুক্ত হয়েছে আরও নাটকীয়তা, বাহুল্য।
Strangulation
এই প্রথাটি আসেছে প্রাচীন প্রাচীন সতিদাহ প্রথা থেকে। দক্ষিণ প্রশান্ত মাহাসাগরের ফিজিতে এ অদ্ভুত প্রথা প্রচলিত। মৃতের প্রিয় এবং ভালোবাসার একজনকে বেছে নেয় ফিজির মানুষেরা এবং হত্যা করে তাকে। এই প্রথায় মনে করা হয়, মৃত মানুষটির অবশ্যই একা যাওয়া উচিৎ নয়। পরপারে থাকতে হবে তাঁর একজন সঙ্গী। আর এই সঙ্গী হিসেবে তাঁর সবচেয়ে কাছের মানুষের চেয়ে ভাল আর কে হতে পারে!
Cannibalism
পাপুয়া নিউগিনি এবং ব্রাজিলের এক গোষ্ঠীর অন্যতম জঘন্য প্রথা এটি। এখন খুব কমই এই অমানবিক প্রথার চর্চা হতে দেখা যায়। ক্যানিবলিজম প্রথায় মৃতের শরীরকে ঘিরে দাঁড়িয়ে থাকে তাঁর পুরো পরিবার। দেহটিকে কাঠ এবং অন্যান্য জিনিস দিয়ে পুড়িয়ে খাওয়ার যোগ্য করা হয়। আসলে সেই সব জাতিই এই প্রথার চর্চা করত যাদের খাবার বলতে ছিল শুধু গাছ-গাছালি। খাদ্যের অভাব তাদের নৃশংস করে তুলত।
Sky Burial
ভীষন নিষ্ঠুর এই প্রথাটি এখনো প্রচলিত আছে। চীনের তিব্বত, কিংঘাই, মংগোলিয়ার অভ্যন্তরে এই প্রথা চালু আছে। একটি মৃতদেহকে টুকরো টুকরো করে কেটে পর্বতের চূড়ায় রেখে দেওয়া হয় পশু-পাখির খাবার হিসেবে। মৃতের দেহকে সৎকারের জন্য এই পন্থা বেছে নেয় তারা। তব্বত এবং মঙ্গোলিয়ার অধিকাংশ যারা ভাইরায়ানা বৌদ্ধ, তারা মনে করে মৃতদের শরীর সংরক্ষণের কোন প্রয়োজন নেই। পাখিরা অথবা প্রকৃতি এর আসল দাবীদার।
Bullet Ant Gloves
খুবই বেদনাদায়ক প্রথা এটি। আমাজনের সাটার-মাওে জাতির প্রথা এটি। যখন একটি তরুণ ছেলে শারীরিকভাবে যৌনক্ষম হয়ে ওঠে তখন তাকে একটি ঔষধ দিয়ে জঙ্গলে পাঠিয়ে দেওয়া হয় এবং তাঁর সমবয়সি বন্ধুরা তাঁর জন্য খুঁজে আনে বুলেট পিঁপড়া। বিশ্বের সবচেয়ে সূচালো ব্যাথাদায়ক হুল থাকে বুলেট পিপড়ার শরীরে। এই পিঁপড়া সংগ্রহ করে ঔষধ দিয়ে তাদের ঘুম পাড়িয়ে রাখা হয়। ঘুম থেকে জেগে পিপড়াগুলো যখন দেখে যে তারা বন্দী তখন তারা ভয়ংকর ক্ষেপে যায়। পিঁপড়া গুলোকে আটকে রাখা জায়গায় হাত ঢুকিয়ে বসে থাকতে হবে ছেলেটিকে। তাকে এমন করে পিপড়ার হুল সহ্য করতে হবে অন্তত ২০ বার, যাতে প্রমাণিত হয় সে আসলেই পুরুষ।
এন/১২:১০/১০ মার্চ