লন্ডন, ২১ ফেব্রুয়ারী- টানা দু’দিনের বৈঠকের পর সবুজ সঙ্কেত। ব্রিটেনকে ‘বিশেষ মর্যাদা’ দিতে রাজি হয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ), শনিবার এ কথা ঘোষণা করলেন প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন। এর পরই আজই ১০, ডাউনিং স্ট্রিটে ক্যাবিনেট মিটিংয়ে বসেন তিনি। সিদ্ধান্ত হয়েছে, ‘বিশেষ মর্যাদা’ নিয়ে ব্রিটেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে থাকবে কি না, তা আগামী ২৩ জুন গণভোট হয়ে স্থির হবে।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের পক্ষে তিনি রয়েছেন বলে শনিবারই জানান ক্যামেরন। তাঁর কথায়, ‘‘২৮ সদস্যের ইউনিয়ন ছেড়ে বেরিয়ে যাওয়ার অর্থ অন্ধকারে ঢিল ছোড়া। তার থেকে বিশেষ মর্যাদা নিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নে থাকা ব্রিটেনের পক্ষে নিরাপদ।’’ ক্যামেরনের আশঙ্কা, ইইউ ছেড়ে বেরোলে দেশের অর্থনীতি ধাক্কা খেতে পারে। ‘‘অনিশ্চয়তা থেকেই যাচ্ছে,’’ বলছেন তিনি। তবে ক্যামেরন এ-ও জানিয়েছেন, গোটাটাই সাধারণ মানুষের সিদ্ধান্ত। তাঁরাই ঠিক করবেন, ব্রিটেনের ভবিষ্যৎ কী হবে।
কিন্তু কী এই ‘বিশেষ মর্যাদা’? ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে নয়া চুক্তিতে ঠিক কী বলা থাকছে? প্রথমত, ইউরোপীয় ইউনিয়নের অন্য দেশ থেকে ব্রিটেনে আসা কর্মপ্রার্থীদের কাজের সুযোগ-সুবিধায় প্রয়োজনে ব্রিটিশ সরকার কাটছাট করতে পারবে। দ্বিতীয়ত, ভবিষ্যতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলির সঙ্গে রাজনৈতিক ভাবে একত্রীভূত থাকতেও ব্রিটেন আর বাধ্য থাকবে না। যাঁরা ইইউ থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পক্ষে, তাঁরা অবশ্য বলছেন ‘বিশেষ মর্যাদা’র নামে নতুন চুক্তিতে সামান্যই সংস্কার করা হচ্ছে।