শরীর সুস্থ রাখার জন্য শারীরিক ব্যায়ামের গুরুত্ব আমরা সকলেই জানি। শারীরিক ব্যায়াম আমাদের দেহকে ফিট এবং সচল রাখতে অনেক সাহায্য করে। সকালের শারীরিক ব্যায়াম আমাদের অবসাদগ্রস্থতা কমায় এবং দেহকে সচল করে। এবং সন্ধ্যার শারীরিক ব্যায়াম আমাদের শরীরকে ফিট রাখে, ওজন কমায় এবং রাতের ভালো ঘুমের সহায়তা করে।
এতো কিছুর পরে শারীরিক ব্যায়াম আমাদের আরও একটি উপকার করে। আর তা হলো আমাদের আত্মবিশ্বাস বাড়ায়। অবাক হচ্ছেন? ভাবছেন শারীরিক ব্যায়ামের সাথে আত্মবিশ্বাসের সম্পর্ক কোথায়? কিন্তু আসলেই শারীরিক ব্যায়াম আমাদের আত্মবিশ্বাস বাড়াতে সাহায্য করে। চলুন তবে দেখে নেয়া যাক কীভাবে শারীরিক ব্যায়াম আমাদের আত্মবিশ্বাস বাড়ায়।
সফল হওয়ার আত্মতৃপ্তির মাধ্যমে:
শারীরিক ব্যায়ামের মাধ্যমে মানুষ যখন ওজন কমাতে চান তখন তিনি নিয়ম করে ব্যায়াম করেন। এবং যখন তিনি এই নিয়মানুবর্তিতা এবং পরিশ্রমের ফল পান তখন নিজের ওপর আত্মবিশ্বাস বাড়ে। মনে মনে ভাবতে থাকেন আমি এভাবে নিয়মানুবর্তিতা এবং পরিশ্রমের মাধ্যমে অনেক কিছুই করতে পারি।
মানসিক চাপ কমিয়ে:
মানুষ যখন মানসিক চাপের মধ্যে থাকেন তখন নিজের ভাগ্য এবং নিজের অতীত স্মৃতি ঘেঁটে বিফলতা খুজে বের করে নিজের আত্মবিশ্বাস কমিয়ে ফেলেন। শারীরিক ব্যায়ামের ফলে দেহ থেকে ‘এন্ডোরফিন’ নামক একটি হরমোনের নিঃসরণ হয় যা মানসিক চাপ কমায়। এতে করে নিজের ওপর আত্মবিশ্বাস ঠিক থাকে।
শারীরিক সুস্থতার মাধ্যমে:
কথায় বলে স্বাস্থ্যই সকল সুখের মূল। একজন শারীরিক ভাবে দুর্বল মানুষের আত্মবিশ্বাসের মাত্রা অনেক কম থাকে। শারীরিক ভাবে অসুস্থ থাকলে মানুষের মন নরম হয়ে যায় এবং ভয় কাজ করে অনেক কিছুতে। শারীরিক ব্যায়াম দেহকে রাখে সুস্থ এবং সবল। শারীরিকভাবে সুস্থ সবল মানুষ নিজেদের কাজে অনেক বেশি পারদর্শী থাকেন। এবং সফলতা পান বলে নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাস আরও বাড়ে।
শারীরিক সৌন্দর্য বৃদ্ধির মাধ্যমে:
শারীরিক ব্যায়াম আমাদের শারীরিক গঠনকে অনেক বেশি আকর্ষণীয় করে তোলে। যখন একজন মানুষ অনুভব করেন যে তিনি অন্য সকলের কাছে বেশ আকর্ষণীয় এবং সুন্দর তখন আপনাআপনি আত্মবিশ্বাস বেড়ে যায়।
চ্যালেঞ্জ নেয়া এবং লক্ষ্যে পৌছনোর ইচ্ছা বৃদ্ধির মাধ্যমে:
যখন কেউ শারীরিক ব্যায়ামের মাধ্যমে নিজের দেহকে ফিট রাখার চেষ্টায় লেগে থাকেন তখন তিনি নিজেকে চ্যালেঞ্জ করে থাকেন। এবং নির্দিষ্ট লক্ষ্যে পৌছনোর জন্য প্রাণপণ চেষ্টা করতে থাকেন। প্রতিনিয়ত এই ধরণের চ্যালেঞ্জ নেয়া এবং লক্ষ্যে পৌছনোর চেষ্টা নিজের মধ্যে আত্মবিশ্বাস বাড়ায়।
সুত্রে-ওয়েবসাইড