জয়পুরহাট, ২০ জুন- জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলায় আদিবাসী একটি পরিবারের চার সদস্য ধারালো অস্ত্রের আঘাতে নিহত হয়েছেন। গুরুতর আহত হয়েছেন একজন। ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে ওই পরিবারের ঘরজামাইকে আটক করেছে পুলিশ।
আজ শনিবার ভোররাতে উপজেলার ভিমপুর তালতলী আদিবাসী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পাঁচবিবি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু হেনা মোস্তফা কামাল এই তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ জানায়, আটক হওয়া ব্যক্তির নাম সুমন হেমরম (৩৬)। নিহত ব্যক্তিরা হলেন সুমনের শাশুড়ি সন্ধ্যা রানী (৪৮), শ্যালিকা তেরেজা মারান্ডি (২২), ফুপা শ্বশুর মার্কেল হেমরম ও নিজের ছেলে সানি হেমরম (৬)। নিহত ব্যক্তিদের লাশ উদ্ধার করে জয়পুরহাট জেলা আধুনিক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন সুমনের স্ত্রী সিলভিয়া (২৮)। তাঁকে জয়পুরহাট জেলা আধুনিক হাসপাতাল থেকে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
পাঁচবিবি থানার ওসি আবু হেনা মোস্তফা কামালের ভাষ্য, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করেছেন আটক সুমন। এ ঘটনায় মামলা হবে।
পুলিশ ও স্থানীয় ব্যক্তিদের ভাষ্য, আদিবাসী ওই পরিবারে ঘরজামাই হিসেবে ছিলেন সুমন। স্ত্রীর বিরুদ্ধে পরকীয়া সম্পর্কের অভিযোগ তুলে আজ ভোররাত সাড়ে তিনটা থেকে চারটার মধ্যে নিজের স্ত্রী, সন্তানসহ শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের ওপর ধারালো অস্ত্র দিয়ে হামলা চালান তিনি। এতে ঘটনাস্থলে চারজন নিহত হন। সুমনের স্ত্রী সিলভিয়ার চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসে। তারা পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে সুমনকে আটক ও নিহত চারজনের লাশ উদ্ধার করে। সিলভিয়াকে হাসপাতালে পাঠানো হয়।